তৎসম শব্দ চিনবেন যেভাবে—

 

তৎসম শব্দ চিনবেন যেভাবে

  1. শব্দে (ণ, ষ, ঋ, ক্ষ, হ্ম, ষ্ণ, ঈ, ঊ, ী, ূ, ৃ) থাকলেই তা তৎসম শব্দ। যেমন— সূর্য, নক্ষত্র, বৃক্ষ, অক্ষি, অষ্ট. সূত্রধর, ভূস্বমী, ঋণ, উষ্ণ ইত্যাদি। ব্যতিক্রম: পোষা, বোষ্টম, কেষ্ট, খ্রিষ্ট, খ্রিষ্টীয়, খ্রিষ্টাব্দ, খ্রিষ্টান তৎসম শব্দ নয় অর্থাৎ অ-তৎসম শব্দ।
  2. বিসর্গযুক্ত বা বিসর্গ সন্ধিসাধিত সকল শব্দ তৎসম শব্দ।
  3. বহুবচনবাচক গণ, বৃন্দ, মণ্ডলী, বর্গ, আবলি, গুচ্ছ, দাম, নিকর, পুঞ্জ, রাজি, রাশি, মালা যুক্ত থাকলেই তা তৎসম শব্দ।
  4. শব্দের শেষে তব্য, অনীয়, বান, মান, তর, তম, তা, ত্ব, র্য— যুক্ত থাকলে তা তৎসম শব্দ।
  5. তৎসম উপসর্গযুক্ত সকল শব্দ তৎসম শব্দ। ব্যতিক্রমআ, সু, বি, নি— এই ৪টি উপসর্গযুক্ত থাকলে সেটি বাংলা শব্দ হতে পারে আবার তৎসম শব্দও হতে পারে। এই ক্ষেত্রে মূল শব্দ অনুযায়ী সেটি সেই ভাষার শব্দ হবে।
সূত্রের বাইরের তৎসম শব্দগুলো মনে রাখবেন যেভাবে: ধর্মের পাত্র-পত্র ও পঞ্চমতলা ভবন বিশিষ্ট দেখে কন্যা হস্তগত করলে চন্দ্র ও গ্রহের ন্যায় মস্তক উজ্জ্বল হবে।
আরো কিছু তৎসম শব্দ: লতা, ভবন, নিদাঘ, আভাস, শিখর, তনু, আসন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন