তৎসম শব্দ চিনবেন যেভাবে
—
- শব্দে (ণ, ষ, ঋ, ক্ষ, হ্ম, ষ্ণ, ঈ, ঊ, ী, ূ, ৃ) থাকলেই তা তৎসম শব্দ। যেমন— সূর্য, নক্ষত্র, বৃক্ষ, অক্ষি, অষ্ট. সূত্রধর, ভূস্বমী, ঋণ, উষ্ণ ইত্যাদি। ব্যতিক্রম: পোষা, বোষ্টম, কেষ্ট, খ্রিষ্ট, খ্রিষ্টীয়, খ্রিষ্টাব্দ, খ্রিষ্টান তৎসম শব্দ নয় অর্থাৎ অ-তৎসম শব্দ।
- বিসর্গযুক্ত বা বিসর্গ সন্ধিসাধিত সকল শব্দ তৎসম শব্দ।
- বহুবচনবাচক গণ, বৃন্দ, মণ্ডলী, বর্গ, আবলি, গুচ্ছ, দাম, নিকর, পুঞ্জ, রাজি, রাশি, মালা যুক্ত থাকলেই তা তৎসম শব্দ।
- শব্দের শেষে তব্য, অনীয়, বান, মান, তর, তম, তা, ত্ব, র্য— যুক্ত থাকলে তা তৎসম শব্দ।
- তৎসম উপসর্গযুক্ত সকল শব্দ তৎসম শব্দ। ব্যতিক্রম: আ, সু, বি, নি— এই ৪টি উপসর্গযুক্ত থাকলে সেটি বাংলা শব্দ হতে পারে আবার তৎসম শব্দও হতে পারে। এই ক্ষেত্রে মূল শব্দ অনুযায়ী সেটি সেই ভাষার শব্দ হবে।
সূত্রের বাইরের তৎসম শব্দগুলো মনে রাখবেন যেভাবে: ধর্মের পাত্র-পত্র ও পঞ্চমতলা ভবন বিশিষ্ট দেখে কন্যা হস্তগত করলে চন্দ্র ও গ্রহের ন্যায় মস্তক উজ্জ্বল হবে।
আরো কিছু তৎসম শব্দ: লতা, ভবন, নিদাঘ, আভাস, শিখর, তনু, আসন।
Tags
টিপস