শব্দ ভান্ডার: দেশি শব্দ
(100% Fresh)
বাংলাদেশের আদিম অধিবাসীদের (যেমন: কোল, মুণ্ডা প্রভৃতি) ভাষা ও সংস্কৃতির কিছু কিছু উপাদান বাংলায় রক্ষিত রয়েছে। এসব শব্দকে দেশি শব্দ নামে অভিহিত করা হয়। অনেক সময় এসব শব্দের মূল নির্ধারণ করা যায় না; কিন্তু কোন ভাষা থেকে এসেছে তার হদিস মেলে। যেমন: পেট, টোপর, ডাব, জলপাই, ডাঙর, বাতাসা, সেমাই, টেক্কা, ফুফা, ফুফু, মামা, মামি, খড়, ঝোল, ডিঙা, ডিঙি, ঢেউ, ঢোল, ঢিল, বানি, খদ্দর ইত্যাদি।
বিতর্কিত দেশি শব্দ: কুড়ি, কুলা, চুলা, চাল, ঢেঁকি, চিংড়ি, ঝিঙা, চাঁপা, চোঙ্গা, বঁটি।
সংশোধনীয় ও করণীয়: (না পড়লেই ভুল)
‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড ব্যাকরণ বই অনুসারে কুড়ি, গঞ্জ ও ঢেঁকি দেশি ভাষার শব্দ দেওয়া আছে, কিন্তু ‘আধুকিক বাংলা অভিধান’ অনুসারে কুড়ি — বাংলা শব্দ, গঞ্জ—ফারসি শব্দ ও ঢেঁকি— হিন্দি শব্দ। বিশেষ টিপ্স: উত্তর করার সময় আধুনিক বাংলা একাডেমি অনুসরণ করায় ভালো। তবে ৪টি/ ৫টি অপশন আধুনিক বাংলা অভিধানানুসারে উত্তর না থাকলে ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ অনুসারে উত্তর দাগাবেন। অনুরূপভাবে ‘খদ্দর’ শব্দটি গুজরাটি ভাষার শব্দ দেওয়া আছে, কিন্তু তা ভুল। আধুনিক বাংলা অভিধানানুযায়ী ‘খদ্দর’ শব্দটি দেশি শব্দ। অন্যদিকে ‘আধুনিক বাংলা অভিধান’ অনুসারে ‘চোঙ্গা’ বানানের কোন শব্দ নেই; আছে ‘চোগা’ যা তুর্কি শব্দ আর ‘চোঙা’ হিন্দি ভাষার শব্দ। আবার, ‘ডাগর’ বাংলা শব্দ যা সংস্কৃত ‘দীর্ঘ’ শব্দ থেকে আগত কিন্তু ‘ডাঙর’ দেশি ভাষার শব্দ; এই দুটি শব্দ অর্থের দিক একই। অনুরূপ ‘কুলা’ বাংলা শব্দ যা সংস্কৃত ‘কুল্য’ শব্দ থেকে আগত।
Tags
টিপস