✓ কনডম বা কনডোম কি ?
∆ কনডম বা কনডোম অর্থ ক্যাপ বা আবরক। অর্থাৎ জন্মনিরোধক লিঙ্গ আবরক। কনডম বা কনডোম হলো এক ধরণের জন্মবিরতিকরণ বস্তু। অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ এবং যৌন রোগ প্রতিরোধক বস্তু হলো কনডম। জন্মনিয়ন্ত্রক কনডম ল্যাটেক্স রাবার অথবা প্লাস্টিক ( পলিইউরিন) দিয়ে তৈরি।
✓ কনডম কত প্রকার ? কি কি ?
∆ কনডম দুই প্রকার:
১. নারীদের
২. পুরুষদের
✓ কনডম কীভাবে ব্যবহার করবেন?
∆ পুরুষদের কনডম ব্যবহারের নিয়ম:
কনডম ব্যবহার করা সহজতর কারণ কনডমের প্যাকেটেই ব্যবহারের নিয়ম লেখা থাকে।
১. প্রথমে ভালো মানের একটি কনডম কিনে নিবেন। যেমন: প্যানথার, হিরো, ইউ এন্ড মি, ডিউরেক্স।
২. কনডম ব্যবহারের আগে এর মেয়াদ দেখে নিবেন। মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ শেষ হওয়া কনডম ব্যবহার করা উচিত নয়।
৩. এরপর ভ্যাজাইনার/ স্ত্রীলিঙ্গের সাথে পেনিসের/ পুরুষ লিঙ্গের কোন রকম স্পর্শের আগেই কনডম পরে নেওয়া উচিত। কারণ স্পার্ম (বীর্য) বের ছাড়াও প্রি-কাম-ফ্লুইড (Pre-Cum-Fluid) নামক এক প্রকার তরল পদার্থ পেনিস থেকে বের হয় যা ছেলেরা টের পায় না, কিন্তু এই তরলেও স্পার্ম থাকে। তাই লিঙ্গ পুল আউট ব্যাবস্থা, অর্থাৎ স্পার্ম বের হওয়ার আগেই পেনিস বের করে ফেলা কার্যকর নয়। এতে প্রেগন্যান্সির ঝুঁকি থেকে যায়। অনাকাঙ্ক্ষিত প্রেগন্যান্সি এড়াতে অবশ্যই কনডম ব্যবহার করবেন।
৪. প্রত্যেকবার মিলনের জন্য একটি করে কনডম ব্যাবহার করবেন। কখনও একটি কনডম দিয়ে একাধিকবার যৌনমিলন করবেন না।
৫. প্রত্যেকবার প্যাকেট খুলে কনডম বের করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করবেন। কখনও ছিড়ে ফেললে বা ফুটো হয়ে গেলে আরেকটা কনডম ব্যবহার করুন। ছিঁড়ে যাওয়া বা ফুটো হওয়া কনডম ব্যবহার করা নিরাপদ নয়।
৬. পেনিস বা লিঙ্গ পুরোপুরি শক্ত হওয়া বা দাঁড়ানোর পর কনডম পড়বেন। প্রয়োজনে কনডমের ভেতর এক দুই ফোটা পিচ্ছিল তরল (তেল)/ লুব্রিক্যান্ট দিতে পারেন। এতে কনডম পরা যেমন সুবিধা হয় তেমনি তা ছেলেদের জন্য বেশি মজারও হয়।
৭. কনডমের সামনের দিকে আধা ইঞ্চির মত জায়গা রাখুন ইহা কনডমের স্পার্ম/ বীর্য ধারনের জন্য ব্যবহার হয়।
৮. কনডমের সামনের অংশে বাতাস থাকলে তা হাত দিয়ে চেপে ভেতরে নিয়ে যান এবং পেনিসের উপর কনডম যতটুকু স্ট্রেচ/ফিট হয় ততটুকু করুন। কোন বাতাসের বুদবুদ থাকলে তা বের করুন, এগুলো কনডম ফেটে ফেলতে পারে।
৯. উল্লেখ্য যে পেনিস নরম হওয়ার আগেই ভ্যাজাইনা থেকে পেনিসটি কনডমসহ দ্রুত বের করে ফেলুন। নয়তো ভ্যাজাইনার ভেতর কনডম আটকে যেতে পারে।
১০. পেনিস থেকে কনডম খোলার সময় একজন কনডম ধরে রাখুন আরেকজন সাবধানে খুলুন, এতে স্পার্ম ছড়িয়ে পরবে না। সাথে সাথে পেনিস ও ভ্যাজাইনা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
১২. ব্যবহৃত কনডম কখনো টয়লেটে বা কমোডে ফ্লাশ করবেন না। বাচ্চাদের নাগালের বাইরে কোন ডাস্টবিনে ফেলুন। যেখানে সেখানে ব্যবহৃত কনডম ফেলবেন না।
✓ কনডম কোথায় পাবেন/ কোথা থেকে কিনবেন?
১. দোকান
২. ফার্মেসি
৩. সুপারমার্কেট
৪. অনলাইনে
নিয়মিত কনডম ব্যবহার করুন, নিরাপদ যৌনমিলন করুন, যৌনরোগমুক্ত থাকুন।